কার্টরাইডার ড্রিফট: নতুনদের জন্য সেরা ৫টি গোপন কৌশল, না জানলে ভুল করবেন!

webmaster

카트라이더 초보 유저를 위한 드리프트 비결 - **Prompt:** A sleek, futuristic racing kart, painted in vibrant orange and metallic silver, is captu...

কার্টরাইডার খেলার সময় ড্রিফটিং নিয়ে কি আপনিও হতাশ? রেসে প্রতিবার অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ছেন, আর ভাবছেন ‘ইস, যদি আমিও ওদের মতো দারুণভাবে ড্রিফট করতে পারতাম!’ – এমন অনুভূতি আমারও ছিল, বিশ্বাস করুন। নতুন হিসেবে যখন প্রথম কার্টরাইডার খেলা শুরু করি, ড্রিফট করতে গিয়ে হয় দেয়ালে ধাক্কা খেতাম, নয়তো পুরো গতি হারিয়ে ফেলতাম। মনে হতো, এই জটিল কৌশলটা কি কোনোদিন আয়ত্ত করতে পারব!

카트라이더 초보 유저를 위한 드리프트 비결 관련 이미지 1

কিন্তু দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা আর প্রচুর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমি বুঝতে পেরেছি, ড্রিফটিং আসলে যতটা কঠিন মনে হয়, ততটা নয়। সঠিক পদ্ধতি আর কিছু ‘সিক্রেট টিপস’ জানা থাকলে যেকোনো নতুন খেলোয়াড়ও খুব সহজে প্রো-প্লেয়ারদের মতো মসৃণ এবং গতিময় ড্রিফট করতে পারে।এখনকার কার্টরাইডার মেটাতে যেখানে গতি আর নির্ভুলতা সবচেয়ে জরুরি, সেখানে মাস্টার ড্রিফট আপনার জয়ের চাবিকাঠি হয়ে উঠতে পারে। সময়ের সাথে সাথে গেমের কৌশলগুলো কিছুটা বদলালেও, ড্রিফটিং এর মূল ভিত্তি এবং তার গুরুত্ব সবসময়ই এক থাকে। অনেক খেলোয়াড় নতুন নতুন কার্ট বা ক্যারেক্টার নিয়ে ব্যস্ত থাকলেও, আমি দেখেছি যারা ড্রিফটিং এর খুঁটিনাটি আয়ত্ত করে, তারাই দীর্ঘমেয়াদে গেমে সেরা পারফরম্যান্স দেখায়। আমার নিজের খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, কিছু ছোট ছোট পরিবর্তনই আপনার ড্রিফটিং-কে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পারে। আমি নিচে এমন কিছু দারুণ ট্রিকস এবং টিপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব, যা আপনার কার্টরাইডার জার্নিকে আরও আনন্দময় করে তুলবে। চলুন, আপনার ড্রিফটিং দক্ষতা কীভাবে সহজে বাড়িয়ে তোলা যায়, সে সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক!

ড্রিফটিং এর মূলমন্ত্র: শুরুটা কিভাবে করবেন?

প্রথম যখন কার্টরাইডার খেলা শুরু করেছিলাম, ড্রিফট ব্যাপারটা আমার কাছে যেন এক রহস্যময় ধাঁধার মতো লাগত। কীভাবে অন্যান্য খেলোয়াড়রা এত সহজে বাঁক ঘুরিয়ে নেয়, গতিও হারায় না, উল্টো আরও বেড়ে যায় – এটা দেখে আমি অবাক হয়ে যেতাম। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ড্রিফটিং শেখার প্রথম ধাপটাই হলো এর মূল মেকানিক্সটা বোঝা। অনেকেই শুধু বাটন টিপে ড্রিফট করার চেষ্টা করে, কিন্তু এর পেছনের বিজ্ঞানটা বোঝে না। কার্টরাইডারে ড্রিফট মানে শুধু দিক পরিবর্তন করা নয়, এটা গতি বজায় রেখে বা বাড়িয়ে বাঁক নেওয়ার একটা কৌশল। শুরুতে ছোট ছোট ড্রিফট দিয়ে শুরু করা উচিত। গেমের টিউটোরিয়ালগুলো দেখলে ভালো ধারণা পাওয়া যায়, তবে আসল শিক্ষাটা আসে বারবার চেষ্টা করার মাধ্যমে। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে প্রতিটি কোণেই আমি ড্রিফট করার চেষ্টা করতাম, কিন্তু বেশিরভাগ সময়ই দেয়ালে ধাক্কা খেতাম বা স্পিড একদম কমে যেত। তখন মনে হতো, এটা বোধহয় আমার দ্বারা হবে না। কিন্তু যখন বুঝতে পারলাম কখন ড্রিফট শুরু করতে হবে আর কখন শেষ করতে হবে, তখন থেকেই খেলাটা মজার হতে শুরু করল। সঠিক সময়ে ড্রিফট শুরু করে, অল্প সময়ের জন্য ড্র্যাগ ড্রিফট করে আবার সোজা হয়ে যাওয়া – এটাই আসল জাদু। এর জন্য প্রয়োজন হাতের আর চোখের দারুণ সমন্বয়। যত বেশি খেলবেন, তত বেশি আপনার পেশী স্মৃতি (muscle memory) তৈরি হবে এবং ড্রিফটিং আপনার কাছে আর জটিল মনে হবে না। আমি দেখেছি, যারা নতুন আসে তারা সাধারণত খুব বেশি সময় ধরে ড্রিফট করে ফেলে, যার কারণে গতি কমে যায়। তাই অল্প সময়ের জন্য মসৃণ ড্রিফট করাটাই আসল চাবিকাঠি।

বেসিক ড্রিফট কৌশল

প্রথমেই বলি, বেসিক ড্রিফটের জন্য গেমের সেটিংসে একটু চোখ বুলিয়ে নিন। ‘Drift Assist’ যদি থাকে, সেটা চালু রাখা নতুনদের জন্য ভালো। এরপর, যখন কোনো বাঁক আসছে, তখন একটু আগে থেকেই ড্রিফট বাটন আর ডিরেকশন বাটন (বাম বা ডান) একসাথে চেপে ধরুন। কার্ট যখন বাঁক নিতে শুরু করবে, তখন ড্রিফট বাটন ছেড়ে দিয়ে শুধু ডিরেকশন বাটন দিয়ে কার্টকে সোজা করার চেষ্টা করুন। এই সময় কার্ট যে সামান্য বুস্ট পাবে, সেটাই আপনার প্রথম সফল ড্রিফট। মনে রাখবেন, ড্রিফট শুরু করার সময় যতটা সম্ভব মসৃণভাবে শুরু করা উচিত, যাতে গতি হঠাৎ কমে না যায়। আমি যখন প্রথমবার কার্টরাইডারের ট্রেনিং মোডে ড্রিফট অনুশীলন করি, তখন বারবার চেষ্টা করে করে বুঝলাম, ড্রিফট বাটন ধরার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বেশি সময় ধরে রাখলে কার্ট অতিরিক্ত ঘুরে যায়, আর কম ধরলে ড্রিফট হয়ই না। তাই একটি মাঝারি সময় বেছে নেওয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

ড্রিফট বুস্ট এর ব্যবহার

সফল ড্রিফটিং এর পর আপনার কার্ট একটি ছোট গতি বুস্ট পাবে, যেটাকে আমরা ‘ড্রিফট বুস্ট’ বলি। এই বুস্টটা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারাটা খুবই জরুরি। ড্রিফট শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বুস্টটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন, যাতে আপনার গতি বজায় থাকে। অনেক নতুন খেলোয়াড় ড্রিফট করার পর বুস্ট নিতে দেরি করে ফেলে, যার কারণে তারা রেসে অন্যদের থেকে পিছিয়ে পড়ে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রতিটি সফল ড্রিফটের পর এই বুস্টটা কাজে লাগানো রেসে আপনার এগিয়ে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই বুস্টটা কখন নিতে হবে, তা আয়ত্ত করতে পারলে আপনি খেলায় অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। এটা অনেকটা পরপর ছোট ছোট স্প্রিন্ট দেওয়ার মতো।

আপনার কার্টের সাথে বোঝাপড়া: সঠিক সেটিংস কতটা জরুরি?

Advertisement

কার্টরাইডারে কেবল আপনার ড্রিফটিং দক্ষতা নয়, আপনার কার্টের সেটিংসও জয়ের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে আমি যে কোনো কার্ট নিয়েই খেলতে শুরু করতাম, আর ভাবতাম সব কার্টই তো একই রকম। কিন্তু যখন বুঝতে পারলাম যে প্রতিটি কার্টের নিজস্ব বৈশিষ্ট্য আছে এবং সেগুলোর সেটিংস পরিবর্তন করে আরও ভালো পারফরম্যান্স পাওয়া যায়, তখন আমার খেলাটাই বদলে গেল। একটি কার্টের হ্যান্ডলিং, স্পিড, অ্যাক্সিলারেশন এবং বুস্ট ক্ষমতা আপনার ড্রিফটিংকে সরাসরি প্রভাবিত করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু কার্ট খুব সহজে ড্রিফট করে, আবার কিছু কার্ট ড্রিফট করার সময় কিছুটা অনিয়ন্ত্রিত মনে হয়। তাই নিজের খেলার স্টাইল অনুযায়ী সঠিক কার্ট বেছে নেওয়াটা জরুরি। আমি ব্যক্তিগতভাবে এমন কার্ট পছন্দ করি, যার হ্যান্ডলিং ভালো, কারণ এতে ড্রিফট করা আমার জন্য অনেক সহজ হয়। তাছাড়া, গেমের অপশন মেনুতে গিয়ে আপনার কন্ট্রোল সেটিংসও যাচাই করে নেওয়া উচিত। কিছু খেলোয়াড় ডিফল্ট সেটিংস নিয়েই খেলে, কিন্তু আমি দেখেছি যে ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বাটন কাস্টমাইজ করলে ড্রিফটিং আরও সাবলীল হয়। হাতের আরাম অনুযায়ী বাটন সেট করাটা অনেক বড় পার্থক্য গড়ে দেয়।

কন্ট্রোল সেটিংস কাস্টমাইজেশন

কার্টরাইডারে কন্ট্রোল সেটিংস কাস্টমাইজ করাটা একটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। আমার প্রথম দিকে মনে হতো, ডিফল্ট সেটিংই বুঝি সেরা। কিন্তু একজন অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ের পরামর্শে আমি আমার বাটন লেআউট পরিবর্তন করি। ড্রিফট বাটন এবং স্টিয়ারিং বাটন এমনভাবে সেট করেছিলাম যাতে আমার আঙুলগুলো সহজে সেগুলোতে পৌঁছাতে পারে এবং দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে। এতে করে ড্রিফটিং এর সময় ভুল কম হতে শুরু করলো। অনেকেই কিবোর্ড বা জয়স্টিক ব্যবহার করে, আর প্রত্যেকেরই নিজস্ব স্বাচ্ছন্দ্য থাকে। আপনার জন্য কোনটা সবচেয়ে ভালো কাজ করে, সেটা খুঁজে বের করার জন্য বিভিন্ন সেটিংস নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করুন। এই ছোট্ট পরিবর্তনই আপনার ড্রিফটিং-কে মসৃণ করে তুলতে পারে।

কার্ট আপগ্রেড এবং পার্টস

আপনার কার্টকে আপগ্রেড করা এবং সঠিক পার্টস ব্যবহার করা আপনার ড্রিফটিং ক্ষমতাকে অনেক বাড়িয়ে তোলে। আমি যখন প্রথম কার্ট আপগ্রেড করা শুরু করি, তখন আমার মনে হয়েছিল এটা শুধু স্পিড বাড়ায়। কিন্তু পরে দেখলাম, কিছু আপগ্রেড হ্যান্ডলিং এবং ড্রিফট স্ট্যাবিলিটিও উন্নত করে। উদাহরণস্বরূপ, নির্দিষ্ট টায়ার বা ইঞ্জিন আপগ্রেড আপনার কার্টকে ড্রিফটের সময় আরও স্থিতিশীল করে তোলে, যা নতুন খেলোয়াড়দের জন্য খুবই উপকারী। এর ফলে ড্রিফট কন্ট্রোল করা সহজ হয় এবং অপ্রত্যাশিত মোচড় খাওয়ার প্রবণতা কমে। আমার অভিজ্ঞতা বলে, শুরুতে একটি ভালো মানের কার্ট বেছে নেওয়া এবং ধীরে ধীরে সেটিকে আপগ্রেড করা দীর্ঘমেয়াদে আপনার পারফরম্যান্সের উন্নতি ঘটাবে। এতে শুধু ড্রিফটিং নয়, সামগ্রিকভাবে আপনার রেসিং দক্ষতাও বাড়বে।

কৌশলগত ড্রিফটিং: রেসের সময় কখন ড্রিফট করবেন?

ড্রিফটিং শুধু গতি বাড়ানোর জন্য নয়, রেসে এগিয়ে থাকার একটি কৌশলগত দিকও। আমার মনে পড়ে, প্রথম প্রথম আমি যখন কার্টরাইডার খেলতাম, তখন মনে হতো যত বেশি ড্রিফট করব, তত ভালো খেলোয়াড় হবো। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। প্রতিটি বাঁকে অন্ধভাবে ড্রিফট করা মানে আপনার গতি কমানো, যা রেসে পিছিয়ে পড়ার কারণ হতে পারে। আসল ব্যাপারটা হলো, কখন ড্রিফট করা প্রয়োজন এবং কখন নয়, সেটা বোঝা। কিছু বাঁকে শুধু সাধারণ মোড় নিলেই যথেষ্ট, সেখানে ড্রিফট করে অযথা গতি হারানোর কোনো মানে হয় না। কিন্তু কঠিন বা তীক্ষ্ণ বাঁকগুলোতে ড্রিফট করা আবশ্যক, কারণ এর মাধ্যমে আপনি মসৃণভাবে মোড় নিতে পারবেন এবং ‘বুস্ট’ পেয়ে গতি বাড়াতে পারবেন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, ম্যাপের প্রতিটি বাঁক মুখস্থ করে ফেলাটা খুব দরকারি। কোন বাঁকে কতটা ড্রিফট করতে হবে, কোন গতিতে ড্রিফট শুরু করতে হবে – এই বিষয়গুলো রেসের ম্যাপ সম্পর্কে গভীর ধারণা থাকলে অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। ড্রিফটিং এর সময় আপনার চারপাশের অন্য খেলোয়াড়দের অবস্থান সম্পর্কেও সচেতন থাকা উচিত। ভুল সময়ে ড্রিফট করলে অন্য খেলোয়াড়দের সাথে সংঘর্ষ হতে পারে, যা আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করবে।

ম্যাপের জ্ঞান এবং ড্রিফট লাইন

প্রতিটি ম্যাপের নিজস্ব বাঁক এবং সরল পথ রয়েছে। আমার নিজের খেলার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, প্রতিটি ম্যাপের ‘ড্রিফট লাইন’ সম্পর্কে ধারণা রাখাটা খুব জরুরি। এই ড্রিফট লাইন হলো সেই আদর্শ পথ, যে পথে ড্রিফট করলে আপনি সবচেয়ে কম সময়ে এবং সর্বোচ্চ গতিতে বাঁক অতিক্রম করতে পারবেন। ম্যাপে ড্রিফট লাইন চিহ্নিত করার জন্য সাধারণত সেরা খেলোয়াড়দের রেপ্লে বা টিউটোরিয়ালগুলো দেখা যেতে পারে। আমি যখন কোনো নতুন ম্যাপে খেলতে শুরু করতাম, তখন প্রথম কয়েকবার শুধু ম্যাপটা বোঝার চেষ্টা করতাম, কোন বাঁকে ড্রিফট করা উচিত আর কোন বাঁকে না। এরপর ধীরে ধীরে আমার নিজের ড্রিফট লাইন তৈরি করতাম। এতে করে রেসে আমার গতি অনেক বেড়ে যেত এবং আমি সহজে অন্যদের পেছনে ফেলে দিতে পারতাম। ম্যাপের জ্ঞান আপনাকে ড্রিফট করার সঠিক স্থান এবং সময় নির্ধারণে সাহায্য করবে।

অন্য খেলোয়াড়দের সাথে সমন্বয়

রেসে একা ড্রিফট করলেই হয় না, আপনার চারপাশের অন্য খেলোয়াড়দের সাথে একটি অদৃশ্য সমন্বয়ও জরুরি। যখন আপনি কোনো বাঁকে ড্রিফট করছেন, তখন আপনার আশেপাশে থাকা খেলোয়াড়দের গতিবিধি সম্পর্কে সচেতন থাকুন। অসাবধানতাবশত অন্য কার্টের সাথে সংঘর্ষ আপনার ড্রিফটকে নষ্ট করে দেবে এবং মূল্যবান সময় নষ্ট করবে। আমার মনে আছে, প্রথম দিকে আমি শুধু নিজের ড্রিফটিং নিয়েই ব্যস্ত থাকতাম, ফলে প্রায়ই অন্য খেলোয়াড়দের সাথে ধাক্কা খেয়ে আমার গতি কমে যেত। এরপর আমি শিখলাম, ড্রিফট করার আগে আশেপাশে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া কতটা জরুরি। বিশেষ করে যখন আপনি একটি টাইট বাঁকে ড্রিফট করছেন, তখন একটু বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। অন্য খেলোয়াড়দের ড্রিফট প্যাটার্ন লক্ষ্য করে আপনার ড্রিফটকে সামঞ্জস্য করা রেসে আপনার জন্য সুবিধাজনক হবে।

প্রো-প্লেয়ারদের গোপন ট্রিকস: অ্যাডভান্সড ড্রিফটিং কৌশল

আমরা সবাই চাই প্রো-প্লেয়ারদের মতো খেলতে, তাই না? আমি যখন প্রথম কার্টরাইডার খেলা শুরু করি, তখন প্রো-প্লেয়ারদের ড্রিফটিং দেখে মুগ্ধ হয়ে যেতাম। মনে হতো, ওরা যেন অন্য কোনো গ্রহে খেলা শিখে এসেছে। কিন্তু দীর্ঘদিনের পর্যবেক্ষণ আর অনুশীলন করে আমি বুঝতে পেরেছি, তাদের কিছু গোপন ট্রিকস আছে যা তারা নিয়মিত ব্যবহার করে। এই ট্রিকসগুলো আয়ত্ত করতে পারলে আপনিও আপনার ড্রিফটিং দক্ষতাকে এক অন্য মাত্রায় নিয়ে যেতে পারবেন। এর মধ্যে ‘ডাবল ড্রিফট’ এবং ‘চেইন ড্রিফট’ অন্যতম। এই কৌশলগুলো ব্যবহার করে তারা শুধু বাঁকই নেয় না, একই সাথে গতি বাড়িয়ে নেয় এবং প্রতিপক্ষকে পিছনে ফেলে দেয়। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, এই অ্যাডভান্সড ড্রিফটিং কৌশলগুলো শিখতে কিছুটা সময় লাগতে পারে, কিন্তু একবার আয়ত্ত করতে পারলে আপনার খেলার মান অনেক বেড়ে যাবে। বিশেষ করে রেসের সময় যখন প্রতিটি সেকেন্ড গুরুত্বপূর্ণ, তখন এই কৌশলগুলো আপনাকে জয়ের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। আমি অনেকবার দেখেছি, শুধুমাত্র একটি ভালো চেইন ড্রিফটের কারণে আমি রেসে প্রথম স্থান অধিকার করেছি।

ড্রিফটিং কৌশল বর্ণনা উপকারিতা
বেসিক ড্রিফট সাধারণ বাঁক ঘোরানোর জন্য ব্যবহৃত হয়। ড্রিফট বাটন + দিক বাটন চেপে ধরে দ্রুত ছেড়ে দেওয়া। ছোট বাঁক মসৃণভাবে অতিক্রম, সামান্য স্পিড বুস্ট।
ডাবল ড্রিফট একটি বাঁকে দুটি ছোট ছোট ড্রিফট করে অতিরিক্ত বুস্ট সংগ্রহ করা। প্রথম ড্রিফটের পর কার্ট সোজা না করেই দ্বিতীয় ড্রিফট করা। বড় বাঁকে গতি বজায় রাখা, দ্রুত একাধিক বুস্ট সংগ্রহ।
চেইন ড্রিফট পরপর একাধিক ড্রিফট করে অবিচ্ছিন্নভাবে বুস্ট তৈরি করা এবং গতি বজায় রাখা। পুরো রেস ট্র্যাকে উচ্চ গতি বজায় রাখা, প্রতিপক্ষকে ছাড়িয়ে যাওয়া।
ইনস্ট্যান্ট বুস্ট ড্রিফট শেষ হওয়ার সাথে সাথেই বুস্ট বাটন ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক গতি বাড়ানো। গতি হ্রাস রোধ, দ্রুত অ্যাক্সিলারেশন।
Advertisement

ডাবল ড্রিফট আয়ত্ত করা

ডাবল ড্রিফট হলো একটি বাঁকে পরপর দুটি ছোট ড্রিফট করে অতিরিক্ত বুস্ট সংগ্রহ করার কৌশল। এটা শুনতে কঠিন মনে হলেও, অনুশীলনের মাধ্যমে আয়ত্ত করা সম্ভব। যখন আপনি একটি বাঁকে প্রথম ড্রিফট শুরু করেন, তখন কার্টকে পুরোপুরি সোজা না করেই দ্বিতীয় ড্রিফটের জন্য প্রস্তুত হন। অর্থাৎ, প্রথম ড্রিফট শেষ হওয়ার ঠিক আগে আবার ড্রিফট বাটন চাপুন এবং দিক পরিবর্তন করুন। এতে করে আপনি দুটি বুস্ট পাবেন এবং আপনার গতি আরও বাড়বে। আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, ডাবল ড্রিফট প্রথমে কিছুটা বিভ্রান্তিকর লাগতে পারে, কারণ এর জন্য খুব দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানাতে হয়। কিন্তু ট্রেনিং মোডে বারবার চেষ্টা করলে দেখবেন, একসময় আপনার হাত আর চোখ এই কৌশলটির সাথে অভ্যস্ত হয়ে যাবে। বড় এবং দীর্ঘ বাঁকগুলোতে ডাবল ড্রিফট বিশেষভাবে কার্যকর।

চেইন ড্রিফট: নিরবচ্ছিন্ন গতি

চেইন ড্রিফট হলো ডাবল ড্রিফটেরই একটি উন্নত রূপ, যেখানে আপনি পরপর একাধিক ড্রিফট করে আপনার গতিকে প্রায় নিরবচ্ছিন্নভাবে বজায় রাখেন। এটা প্রো-প্লেয়ারদের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগুলোর মধ্যে একটি। যখন একটি দীর্ঘ বাঁক বা একাধিক বাঁক একসাথে আসে, তখন চেইন ড্রিফট ব্যবহার করে আপনি আপনার গতিকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রাখতে পারবেন। এর জন্য আপনাকে ড্রিফটের পর ড্রিফট বুস্ট ব্যবহার করে, আবার ড্রিফট শুরু করতে হবে, যাতে বুস্ট এবং ড্রিফট একসাথে চলতে থাকে। এটা অনেকটাই একটি ছন্দের মতো। আমার মনে আছে, আমি যখন প্রথম চেইন ড্রিফট আয়ত্ত করতে পারি, তখন আমার রেসের ফলাফল নাটকীয়ভাবে বদলে গিয়েছিল। এটা শুধু গতি বাড়ায় না, বরং আপনাকে রেসে একটি অসাধারণ ধারাবাহিকতা প্রদান করে। এই কৌশলটি আয়ত্ত করতে অনেক সময় এবং অনুশীলন লাগে, কিন্তু এর ফল খুবই ফলপ্রসূ।

ধৈর্য আর অনুশীলন: সেরা হওয়ার একমাত্র পথ

কার্টরাইডারে সেরা ড্রিফটার হওয়ার জন্য জাদু টনিক বলে কিছু নেই। আমার নিজের পথচলার দিকে তাকালে দেখতে পাই, এই পর্যায়ে আসতে আমাকে অনেক ধৈর্য ধরতে হয়েছে এবং অবিরাম অনুশীলন করতে হয়েছে। প্রথম দিকে যখন আমি ড্রিফট করতে গিয়ে বারবার ব্যর্থ হতাম, তখন খুব হতাশ লাগত। মনে হতো, আমি বোধহয় কোনোদিন প্রো-প্লেয়ারদের মতো খেলতে পারব না। কিন্তু প্রতিটি ব্যর্থতা আমাকে নতুন কিছু শিখিয়েছে। ড্রিফটিং শেখাটা সাইকেল চালানোর মতো; প্রথম দিকে পড়ে গেলেও, ধীরে ধীরে ভারসাম্য রাখা যায়। তাই হতাশ না হয়ে বারবার চেষ্টা করাই হলো আসল চাবিকাঠি। গেমের ‘টাইম অ্যাটাক’ মোডটি অনুশীলনের জন্য দুর্দান্ত একটি জায়গা। এখানে আপনি একা নিজের মতো করে প্রতিটি ম্যাপে ড্রিফটিং অনুশীলন করতে পারবেন, আপনার ভুলগুলো ধরতে পারবেন এবং সেগুলো শুধরে নিতে পারবেন। এখানে কোনো প্রতিপক্ষ থাকে না বলে আপনি নির্দ্বিধায় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারবেন। আমি প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা টাইম অ্যাটাক মোডে ড্রিফটিং অনুশীলন করতাম, আর বিশ্বাস করুন, এই অনুশীলনই আমাকে একজন ভালো খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলেছে।

টাইম অ্যাটাক মোডের সদ্ব্যবহার

টাইম অ্যাটাক মোড হলো আপনার ড্রিফটিং দক্ষতার পরীক্ষা ও উন্নতির জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম। আমার প্রথম দিকে এই মোডকে খুব বোরিং মনে হতো, কারণ এতে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। কিন্তু পরে আমি বুঝতে পারলাম, এখানে আমি নিজের মতো করে প্রতিটি বাঁক, প্রতিটি ড্রিফট নিখুঁত করার সুযোগ পাচ্ছি। প্রতিটি ম্যাপে আপনার নিজের সেরা সময় রেকর্ড করার চেষ্টা করুন। যখন আপনি দেখেন যে আপনার সময় ধীরে ধীরে উন্নতি করছে, তখন সেটি আপনাকে আরও বেশি অনুশীলনের জন্য অনুপ্রাণিত করবে। আমি প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট ম্যাপ বেছে নিতাম এবং সেই ম্যাপে আমার ড্রিফট লাইন, ড্রিফট টাইমিং এবং বুস্টের ব্যবহার নিখুঁত করার চেষ্টা করতাম। এখানে আপনি বিভিন্ন কার্ট এবং সেটিংস পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন, কোনটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো কাজ করে। এতে করে রেসের সময় আপনার আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়ে যাবে।

ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ

ভুল করাটা শেখার প্রক্রিয়ার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। ড্রিফট করতে গিয়ে যখন আপনি দেয়ালে ধাক্কা খাচ্ছেন বা গতি হারাচ্ছেন, তখন হতাশ না হয়ে বোঝার চেষ্টা করুন কেন এমনটা হচ্ছে। আমি যখন ভুল করতাম, তখন বারবার একই দৃশ্যের রেপ্লে দেখতাম এবং বোঝার চেষ্টা করতাম আমার ড্রিফট শুরু করার সময় বা দিক পরিবর্তনের টাইমিং-এ কোনো ভুল ছিল কিনা। এই আত্ম-বিশ্লেষণ আমাকে আমার ভুলগুলো শুধরে নিতে অনেক সাহায্য করেছে। অনেক সময় ছোট একটি ভুলই বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই আপনার ভুলগুলোকে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখুন। প্রতিটি ভুলের পর নিজেকে প্রশ্ন করুন, “আমি কী ভুল করেছি এবং পরের বার কীভাবে এটি এড়াতে পারি?” আমার মনে আছে, আমার প্রথম দিকের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল ড্রিফট বাটন অতিরিক্ত সময় ধরে রাখা, যার কারণে কার্ট প্রায়শই অতিরিক্ত ঘুরে যেত। এই ভুলটি চিহ্নিত করার পরই আমি আমার ড্রিফটিং-কে অনেকটাই উন্নত করতে পেরেছিলাম।

কমিউনিটির সাথে সংযোগ: অন্যদের থেকে শিখুন

Advertisement

কার্টরাইডার খেলাটা শুধু ব্যক্তিগত দক্ষতার ব্যাপার নয়, এটা একটা বিশাল কমিউনিটির অংশ। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, যখন আমি ড্রিফটিং নিয়ে প্রথম সংগ্রাম করছিলাম, তখন অন্যান্য অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের কাছ থেকে পরামর্শ নেওয়াটা আমার জন্য খুবই উপকারী ছিল। গেমের ফোরাম, ডিসকর্ড সার্ভার, ইউটিউব চ্যানেল এবং লাইভ স্ট্রিমিং প্লাটফর্মগুলোতে আপনি অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের খুঁজে পাবেন, যারা তাদের জ্ঞান এবং কৌশলগুলো শেয়ার করতে ইচ্ছুক। আমার মনে আছে, একবার আমি একটি কঠিন ম্যাপের একটি নির্দিষ্ট বাঁকে ড্রিফট করতে পারছিলাম না। তখন আমি একটি অনলাইন ফোরামে আমার সমস্যাটি জানাই এবং বেশ কয়েকজন খেলোয়াড় আমাকে বিস্তারিত টিপস দেয়। তাদের পরামর্শগুলো এতটাই কার্যকর ছিল যে, কয়েকদিনের অনুশীলনের পরই আমি সেই বাঁকটি মসৃণভাবে ড্রিফট করতে পারছিলাম। অন্যদের রেপ্লে দেখা, তাদের খেলার স্টাইল পর্যবেক্ষণ করা এবং তাদের কৌশলগুলো বোঝার চেষ্টা করা আপনার নিজের খেলার মানকে অনেক বাড়িয়ে দেবে। একে অপরের সাথে অভিজ্ঞতা শেয়ার করে শেখাটা খেলার একটি আনন্দময় অংশ।

অনলাইন রিসোর্স এবং টিউটোরিয়াল

ইউটিউব এবং অন্যান্য ভিডিও প্ল্যাটফর্মে কার্টরাইডার ড্রিফটিং নিয়ে অজস্র টিউটোরিয়াল পাওয়া যায়। আমার নিজের যখন কোনো নতুন কৌশল শিখতে হতো, তখন আমি বিভিন্ন খেলোয়াড়ের টিউটোরিয়াল দেখতাম। এর মধ্যে কিছু টিউটোরিয়াল এতটাই বিস্তারিত ছিল যে, সেগুলো অনুসরণ করে আমি সহজেই নতুন কৌশলগুলো আয়ত্ত করতে পারতাম। লাইভ স্ট্রিমিংয়ে প্রো-প্লেয়ারদের খেলা দেখাটাও খুব শিক্ষণীয়। তারা কীভাবে বাঁকগুলো নেয়, কখন ড্রিফট শুরু করে, কখন বুস্ট ব্যবহার করে – এই বিষয়গুলো সরাসরি দেখে শেখাটা খুব কার্যকর। আমার মনে আছে, একবার একজন স্ট্রিমারের কাছ থেকে আমি ‘ওয়াল রাইডিং’ ড্রিফটের একটি বিশেষ কৌশল শিখেছিলাম, যা রেসে আমাকে অনেকবার সাহায্য করেছে। এই অনলাইন রিসোর্সগুলো আপনাকে নতুন ধারণা দেবে এবং আপনার ড্রিফটিংকে আরও শক্তিশালী করে তুলবে।

বন্ধুদের সাথে অনুশীলন এবং প্রতিযোগিতা

বন্ধুদের সাথে খেলাধুলা করাটা শুধু মজারই নয়, শেখারও একটি দারুণ উপায়। আমার যখন কার্টরাইডারের বন্ধুরা ছিল, তখন আমরা একসাথে কাস্টম রুমে ড্রিফটিং অনুশীলন করতাম। একজন আরেকজনের ভুল ধরিয়ে দিতাম এবং ভালো ড্রিফটের জন্য প্রশংসা করতাম। নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতা আমাদের আরও ভালো খেলার জন্য অনুপ্রাণিত করত। কে সবচেয়ে দ্রুত একটি নির্দিষ্ট ম্যাপ ড্রিফট করতে পারে, বা কে সবচেয়ে বেশি চেইন ড্রিফট করতে পারে – এমন চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। বন্ধুদের সাথে খেলে আপনি বাস্তব রেসের পরিস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাবেন এবং চাপের মধ্যে কীভাবে ড্রিফট করতে হয়, তা শিখতে পারবেন। একে অপরের সাথে কৌশল নিয়ে আলোচনা করা এবং নতুন নতুন টিপস শেয়ার করা আপনার ড্রিফটিংকে একটি নতুন মাত্রা দেবে।

মানসিক প্রস্তুতি: ড্রিফটিং-এর সময় চাপ সামলানো

কার্টরাইডার রেসে ড্রিফটিং শুধু আপনার আঙ্গুলের দক্ষতা নয়, এটি আপনার মানসিক প্রস্তুতিরও একটি বড় পরীক্ষা। আমার মনে পড়ে, যখন প্রথমবার কোনো প্রতিযোগিতামূলক রেসে অংশ নিয়েছিলাম, তখন ড্রিফট করতে গিয়ে প্রচণ্ড চাপ অনুভব করতাম। সামান্য ভুলের ভয়ে হাত কাঁপতো, আর এর ফলস্বরূপ ভুল করে ফেলতাম। কিন্তু ধীরে ধীরে আমি বুঝতে পারলাম, রেসে জয়ী হওয়ার জন্য ড্রিফটিং দক্ষতার পাশাপাশি মানসিক স্থিরতাও খুব জরুরি। চাপ সামলে ঠান্ডা মাথায় ড্রিফট করাটা সত্যিই একটি শিল্প। রেসের সময় যখন অন্য খেলোয়াড়রা আপনার পাশে থাকে, তখন ড্রিফট করার সময় তাদের চাপ আপনার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। কিন্তু আমি শিখেছি যে, এই চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে আপনি আপনার সেরা পারফরম্যান্স দিতে পারবেন। নিজেকে শান্ত রাখা এবং নিজের ড্রিফটিং এর উপর বিশ্বাস রাখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

চাপের মধ্যে ড্রিফটিং

রেসের সময় যখন আপনি লিড পজিশনে থাকেন বা পিছিয়ে পড়েন, তখন প্রতিটি ড্রিফটে চাপ অনুভব করাটা স্বাভাবিক। আমার মনে আছে, যখন প্রথমবার একটি গুরুত্বপূর্ণ রেসে শেষ বাঁকে ছিলাম এবং লিড পজিশনে ছিলাম, তখন ড্রিফট করতে গিয়ে আমার হাত কাঁপছিল। এর ফলস্বরূপ একটি সামান্য ভুল করে আমি লিড হারিয়ে ফেলেছিলাম। তখন থেকেই আমি মানসিক চাপ সামলানোর গুরুত্বটা বুঝি। আপনার মনকে শান্ত রাখতে হবে। ভুল হলেও হতাশ না হয়ে, সেটিকে দ্রুত ভুলে পরবর্তী ড্রিফটের দিকে মনোযোগ দিন। কিছু হালকা শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম রেসের আগে আপনাকে শান্ত রাখতে সাহায্য করতে পারে। নিজের উপর বিশ্বাস রাখুন এবং আপনার অনুশীলনের উপর ভরসা রাখুন। যত বেশি খেলবেন, তত বেশি চাপের মধ্যে ড্রিফট করার অভিজ্ঞতা আপনার হবে এবং আপনি ধীরে ধীরে এই চাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে শিখবেন।

ফোকাস এবং আত্মবিশ্বাস

카트라이더 초보 유저를 위한 드리프트 비결 관련 이미지 2
ড্রিফটিং এর সময় ১০০% ফোকাস রাখাটা জরুরি। রেসের সময় আশেপাশের পরিবেশ, অন্যান্য খেলোয়াড় বা আপনার নিজের ভুলগুলো থেকে মনোযোগ সরিয়ে শুধু ড্রিফট লাইন এবং পরবর্তী পদক্ষেপের উপর মনোযোগ দিন। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, যখন আমি পুরোপুরি ফোকাসড থাকতাম, তখন আমার ড্রিফটিং সবচেয়ে ভালো হতো। আত্মবিশ্বাসও ড্রিফটিং-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যদি আপনি নিজের ড্রিফটিং ক্ষমতার উপর বিশ্বাস না রাখেন, তাহলে আপনি ভালো পারফর্ম করতে পারবেন না। আপনার অনুশীলনের উপর আস্থা রাখুন এবং বিশ্বাস করুন যে আপনি ড্রিফটটি সঠিকভাবে করতে পারবেন। আত্মবিশ্বাস আপনার ড্রিফটিংকে মসৃণ এবং গতিময় করে তুলবে। যদি কোনো ভুল হয়েও যায়, তাহলেও নিজের আত্মবিশ্বাস হারাবেন না। দ্রুত সেই ভুল থেকে বেরিয়ে এসে পরবর্তী ড্রিফটের দিকে মনোযোগ দিন। প্রতিটি সফল ড্রিফট আপনার আত্মবিশ্বাসকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।

글কে বিদায় জানাই

প্রিয় রেসার বন্ধুরা, ড্রিফটিংয়ের এই দীর্ঘ যাত্রায় আমার অভিজ্ঞতাগুলো তোমাদের সাথে ভাগ করে নিতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। কার্টরাইডার শুধু একটি খেলা নয়, এটি একটি শিল্প, যেখানে প্রতিটি ড্রিফট নিখুঁত করার পেছনের প্রচেষ্টা আর ধৈর্যই আসল জাদু। মনে রেখো, প্রতিটি ব্যর্থতা শেখার একটি সুযোগ, আর প্রতিটি অনুশীলন তোমাকে সাফল্যের আরও কাছাকাছি নিয়ে যাবে। ড্রিফটিংয়ে সেরা হওয়ার কোনো শর্টকাট নেই, শুধু আছে অবিরাম অনুশীলন, সঠিক মানসিকতা এবং শেখার অদম্য ইচ্ছা। এই গাইডলাইনগুলো তোমার যাত্রাকে আরও মসৃণ করবে আশা করি, কিন্তু আসল খেলোয়াড় তুমি নিজেই, যিনি নিজের হাতে স্টিয়ারিং ধরে প্রতিটি বাঁক জয় করবে।

Advertisement

কিছু দরকারি টিপস যা জানা থাকলে কাজে লাগবে

১. প্রতিদিন অন্তত ১৫-২০ মিনিট ‘টাইম অ্যাটাক’ মোডে ড্রিফটিং অনুশীলন করার চেষ্টা করুন। এতে আপনার পেশী স্মৃতি তৈরি হবে এবং ড্রিফটিংয়ের সময় আপনার হাত আরও দ্রুত ও নির্ভুলভাবে কাজ করবে। বিভিন্ন ম্যাপে অনুশীলন করুন যাতে সব ধরনের বাঁকের সাথে পরিচিত হতে পারেন।

২. ইউটিউবে বা গেমের ভেতরে থাকা প্রো-প্লেয়ারদের রেপ্লে বা লাইভ স্ট্রিমিংগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখুন। তারা কীভাবে বাঁক নেয়, কখন ড্রিফট শুরু করে এবং কখন বুস্ট ব্যবহার করে, তা দেখে শেখার চেষ্টা করুন। তাদের কৌশলগুলো নিজের গেমে প্রয়োগ করার চেষ্টা করলে আপনার খেলার মান দ্রুত উন্নত হবে।

৩. আপনার কন্ট্রোল সেটিংস এবং কার্টের পার্টস কাস্টমাইজ করতে ভুলবেন না। আপনার খেলার স্টাইল অনুযায়ী বাটন লেআউট এবং কার্টের আপগ্রেড বেছে নিন। সঠিক সেটিংস আপনার ড্রিফটিংকে আরও মসৃণ এবং কার্যকর করে তুলবে, যা রেসে এগিয়ে থাকার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৪. গেমের কমিউনিটি ফোরাম বা ডিসকর্ড সার্ভারগুলোতে যোগ দিন। অন্যান্য খেলোয়াড়দের সাথে আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন, প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করুন এবং টিপস আদান-প্রদান করুন। অন্যদের কাছ থেকে শেখা এবং তাদের ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া আপনার ড্রিফটিং দক্ষতা বাড়াতে সাহায্য করবে।

৫. চাপের মধ্যে শান্ত থাকার অভ্যাস করুন। রেসের সময় ভুল হতেই পারে, কিন্তু সেই ভুলের জন্য হতাশ না হয়ে দ্রুত মনোযোগ পরবর্তী ড্রিফটের দিকে নিয়ে যান। ফোকাস এবং আত্মবিশ্বাস আপনার সেরা পারফরম্যান্স বের করে আনতে সাহায্য করবে। ছোট ছোট শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম আপনাকে শান্ত থাকতে সাহায্য করতে পারে।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি সংক্ষেপে

আমার প্রিয় কার্টরাইডার খেলোয়াড়রা, ড্রিফটিংয়ের এই গাইডলাইনটি তৈরি করতে আমি আমার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়েছি। সবার আগে মনে রাখবে, বেসিক ড্রিফটিং কৌশল আয়ত্ত করাটা সবচেয়ে জরুরি। কখন ড্রিফট শুরু করতে হয় আর কখন শেষ করতে হয়, এই সময়জ্ঞানটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এরপর আসে আপনার কার্টের সাথে বোঝাপড়া। আপনার কার্টের সেটিংস এবং কন্ট্রোল কাস্টমাইজেশন আপনার ড্রিফটিংকে অনেক বেশি আরামদায়ক করে তুলবে। আমার নিজের মনে আছে, যখন আমি আমার পছন্দসই কার্ট সেটিংস খুঁজে পেয়েছিলাম, তখন আমার খেলার মান নাটকীয়ভাবে বেড়ে গিয়েছিল।

কৌশলগত ড্রিফটিং রেসে আপনাকে অন্যদের থেকে এগিয়ে রাখবে। প্রতিটি ম্যাপের বাঁকগুলো ভালোভাবে চেনা এবং কোথায় ড্রিফট করতে হবে আর কোথায় নয়, সেই বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা রাখাটা খুব দরকারি। প্রো-প্লেয়ারদের মতো ‘ডাবল ড্রিফট’ এবং ‘চেইন ড্রিফট’ এর মতো অ্যাডভান্সড কৌশলগুলো শিখতে পারলে আপনি রেসে এক অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত হবেন। এগুলো আয়ত্ত করতে সময় লাগবে, কিন্তু এর ফল খুবই মিষ্টি।

তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে হলো ধৈর্য এবং অনুশীলন। কোনোদিন ভাববেন না যে একদিনেই আপনি একজন প্রো-ড্রিফটার হয়ে উঠবেন। প্রতিটি ছোট ছোট উন্নতিকে উদযাপন করুন এবং ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিন। টাইম অ্যাটাক মোডে অনুশীলন করাটা খুবই ফলপ্রসূ। আর সবশেষে, এই বিশাল কার্টরাইডার কমিউনিটির সাথে যুক্ত থাকুন। অন্যদের থেকে শিখুন, আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ার করুন এবং বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতায় অংশ নিন। আমার বিশ্বাস, এই প্রতিটি ধাপে যদি তুমি মন দিয়ে চেষ্টা করো, তাহলে খুব শীঘ্রই তুমি তোমার স্বপ্নের ড্রিফটিং দক্ষতা অর্জন করতে পারবে। রেসে দেখা হবে!

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: কার্টরাইডারে ড্রিফটিং কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এবং নতুন খেলোয়াড়দের জন্য এটি আয়ত্ত করা কেন জরুরি?

উ: এই প্রশ্নের উত্তর আমার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়েই শুরু করি। প্রথম যখন খেলা শুরু করি, শুধু গতি বাড়ানোর দিকেই মনোযোগ ছিল। কিন্তু বারবার দেখতাম, যে খেলোয়াড়রা সুন্দর ড্রিফট করছে, তারাই দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে এবং আমার থেকে অনেক কম সময়ে রেস শেষ করছে। পরে বুঝতে পারলাম, ড্রিফটিং শুধু স্টাইলিশ দেখানোর জন্য নয়, এটি কার্টরাইডারে গতি ধরে রাখা এবং তীক্ষ্ণ বাঁক নেওয়ার জন্য অপরিহার্য। আপনি যদি প্রতিটি বাঁকে নিখুঁতভাবে ড্রিফট করতে পারেন, তাহলে আপনার গতি কমবে না, বরং “বুস্ট” পাওয়ার মাধ্যমে আরও বাড়বে। নতুন খেলোয়াড় হিসেবে এটা শেখা খুবই জরুরি, কারণ এটা আপনাকে অন্যদের থেকে এক ধাপ এগিয়ে রাখবে এবং আপনি রেসে আরও আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন। যখন আপনি ড্রিফটিং আয়ত্ত করবেন, তখন দেখবেন আপনার খেলার ধরনই পাল্টে গেছে, আর রেসে জেতার সম্ভাবনাও অনেক বেড়ে গেছে। আমার মনে আছে, প্রথম যখন একটা সফল ড্রিফট করে বুস্ট পেয়ে পুরো ট্র্যাক পার হয়ে গেলাম, সেই অনুভূতিটা ছিল অসাধারণ!

প্র: নতুন খেলোয়াড় হিসেবে ড্রিফট করার সময় কোন সাধারণ ভুলগুলো এড়িয়ে চলা উচিত এবং কিভাবে তা উন্নত করা যায়?

উ: আমার প্রথমদিকের ভুলগুলো মনে পড়লে এখনো হাসি পায়। শুরুতে আমি হয়তো ড্রিফটের জন্য অনেক আগে থেকেই বাঁক নেওয়া শুরু করতাম, যার ফলে দেয়ালে ধাক্কা খেতাম, নয়তো একদম দেরিতে ড্রিফট করতাম, এতে করে গতি পুরোপুরি হারিয়ে ফেলতাম। এই দুটোই খুব সাধারণ ভুল। প্রথমত, ড্রিফট শুরু করার সঠিক সময় বোঝা খুব জরুরি। বাঁকের একদম মুখে না গিয়ে, সামান্য আগে থেকে ড্রিফটের জন্য প্রস্তুতি নিন। দ্বিতীয়ত, ড্রিফট করার সময় এক্সিলারেট বাটন (গ্যাসের বাটন) ছেড়ে দেবেন না। অনেকে মনে করে ড্রিফটের সময় গতি কমানো উচিত, কিন্তু আসলে তা নয়। এক্সিলারেট ধরে রেখে ড্রিফট করলে আপনি গতি বজায় রাখতে পারবেন এবং ড্রিফট শেষে দ্রুত বুস্ট পেতে সুবিধা হবে। আরেকটি ভুল হলো ড্রিফটের অ্যাঙ্গেল বা কোণ বুঝতে না পারা। অতিরিক্ত অ্যাঙ্গেল নিলে গতি কমে যায়, আর কম অ্যাঙ্গেল নিলে ঠিকমতো বাঁক নেওয়া যায় না। আমার পরামর্শ হলো, প্রথমে প্র্যাকটিস মোডে বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল নিয়ে পরীক্ষা করুন। দেখবেন, কয়েকবার চেষ্টা করলেই আপনি সেরা অ্যাঙ্গেলটা খুঁজে পাবেন। মনে রাখবেন, ধারাবাহিক অনুশীলনই আপনাকে এই ভুলগুলো থেকে মুক্তি দেবে।

প্র: ড্রিফটিংকে আরও মসৃণ ও দ্রুত করার জন্য আপনার কিছু ‘সিক্রেট টিপস’ কি আছে, যা অন্য খেলোয়াড়রা সাধারণত জানে না?

উ: হ্যাঁ, অবশ্যই কিছু ‘সিক্রেট টিপস’ আছে যা আমি আমার খেলার দীর্ঘ পথচলায় শিখেছি! প্রথমত, “ট্যাপ ড্রিফট” এর ব্যবহার। সাধারণ ড্রিফটের চেয়ে এটি আরও সূক্ষ্ম এবং দ্রুত। ছোট ছোট বাঁকের জন্য পুরো ড্রিফট না করে, শুধু ড্রিফট বাটনটা হালকা ট্যাপ করে ছেড়ে দিন। এতে গতি না হারিয়ে দ্রুত বাঁক নেওয়া যায়। আমি দেখেছি প্রো-প্লেয়াররা এর মাধ্যমে কীভাবে ছোট ছোট গতি লাভ করে। দ্বিতীয়ত, “ডাবল ড্রিফট” বা “চেইন ড্রিফট”। যখন একটি বাঁকের পর আরেকটি বাঁক দ্রুত চলে আসে, তখন প্রথম ড্রিফট শেষ না করেই দ্বিতীয় ড্রিফটের জন্য প্রস্তুতি নিন। এর ফলে আপনি একটানা বুস্ট পেয়ে যাবেন। এটা আয়ত্ত করা কিছুটা কঠিন হলেও, একবার পেরে গেলে আপনার খেলার মান অনেক বেড়ে যাবে। আমার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, এই কৌশলগুলো আয়ত্ত করার পর আমার রেসের সময় অনেক কমে গিয়েছিল এবং আমি অনেক বেশি আনন্দ নিয়ে খেলাটা উপভোগ করতে শুরু করেছিলাম। এটা অনেকটা সুর করে গান গাওয়ার মতো – একবার ছন্দটা ধরে ফেললে আর থামতে ইচ্ছে করে না। নিয়মিত অনুশীলন আর এই টিপসগুলো ফলো করলে আপনার ড্রিফটিংও একদিন মাস্টারপিস হয়ে উঠবে, আমি নিশ্চিত!

📚 তথ্যসূত্র

Advertisement